83
পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসায় অবহেলার কারণেই মারা গেছেন তানভীর। তার ভাই শামীম আল মামুন বলেন, ইচ্ছে করেই দেয়া হয়নি চিকিৎসা। অসুস্থদের ফেলে রেখে দেয়া হয়েছে কারাগারে। কোনো খাবার নেই, কিছু নেই। হাই সিকিউরিটিতে আরও অত্যাচার করে মারা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আসামির মৃত্যু
ঢাকা উত্তরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা লীগের সভাপতি মনোয়ারা মজলিশ গত ২৬ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেলে মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগে কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে দুইদিন রেখে ঠিকমতো চিকিৎসা না দিয়ে তাদের জানানো হয়। মৃত মনোয়ারার স্বামী মজলিস মিয়া বলেন, কিডনির সমস্যা থাকলেও হাসপাতালে কোনো চিকিৎসা দেয়া হয়নি।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, গণ-অভ্যুত্থানের পর গত ১৫ মাসে ১১২ জন কারা হেফাজতে মারা গেছেন। চলতি বছরের ১১ মাসেই যে সংখ্যা ৯৫ জন। যেখানে ২০২৪ সালের ১২ মাসে ছিল ৬৫ জন। গত ৫ বছরের হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা ৪১২।
কারা হেফাজতে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন বেশিরভাগই মারা যায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে। গত সেপ্টেম্বরে সাবেক শিল্পমন্ত্রীর মৃত্যুর আগে হাতকড়া পরিহিত ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। অসুস্থ বন্দির মানবাধিকার নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। ঢামেক কর্তৃপক্ষের দাবি, কারাগার থেকে আসা বন্দিদের চিকিৎসায় অবহেলার সুযোগ নেই। ডিভিশনপ্রাপ্ত না হয়েও অনেকে ডিভিশনের সুযোগ-সুবিধার দাবি করে। সেটা না পেলেই অভিযোগ করে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ডিভিশন প্রাপ্ত আসামি যে সুবিধা পায় অনেকেই সেই সুবিধাটা ক্লেইম করে; তখন তো সেটা আমরা তাকে দিতে পারি না। হাসপাতালে থাকার দরকার নেই; কিন্তু সে থাকতে চায়। তার এটেন্ডেন্টরাও তাকে রাখতে চায়। যখন আমরা রাখি না, তখন তারা এটা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করে।’
আরও পড়ুন: গাজীপুর কারাগারে ‘আয়নাবাজি’ সংবাদের পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা
তবে কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, কারাগারে চিকিৎসায় ৪১ জন আবাসিক ডাক্তারের মধ্যে মাত্র ২ জন দায়িত্বে আছেন এবং পর্যাপ্ত আইসিইউও নেই। এই কারণে অসুস্থ বন্দিদের চিকিৎসা দিতে কিছু ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগলেও অবহেলার সুযোগ নেই।
কারা মহাপরিদর্শক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, ‘ইমারজেন্সি ক্রিয়েট হলে আমরা সরাসরি হাসপাতালের ডাক্তার পাই না। তাই নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠাতে হয়। এতে কিছু সমস্যা হয় বা মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা বেড়ে যায়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য সেবা অধিদফতরের সঙ্গে সমন্বয় করছি। কোনো গাফিলতি পাওয়া গেলে দায়ীদের শাস্তি দেয়া হয়।’
মানবাধিকার সংগঠন নাগরিক উদ্যোগ বলেছে, ‘২৪ সালের অভ্যুত্থানের আগেও কারা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগজনক ছিল এবং অভ্যুত্থানের পরও পরিস্থিতি বদলায়নি। নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন বলেন, ‘অভ্যুত্থানের মূল স্পিরিট পুরোপুরি ভায়োলেট করা হচ্ছে। গত সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির কারণে আমরা রাস্তায় নেমেছিলাম, কিন্তু নতুন সরকার আসার পরও পরিবর্তনের স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে না।’
পাশাপাশি বন্দিদের মানবাধিকার নিশ্চিতে কারাগারে মানবাধিকার সংগঠনদের নিয়মিত পরিদর্শনের ব্যবস্থা করে হবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কোনো শক্তিই বাধা হতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দয়া নয়, একটি সম্মানজনক আসন সমঝোতা হবে: সাইফুল হক
প্রথম ১২ বলে ১৪ রানে ২ উইকেট নেয়া রিশদ তৃতীয় ওভারে খরুচে
খাগড়াছড়িতে নিরাপত্তা জোরদার বিজিবির
ডিসেম্বরের ১৭ দিনেই এলো ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স
ভেনেজুয়েলার তেল যুক্তরাষ্ট্রের বলে দাবি ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগীর