1332
আরও পড়ুন: ৫৪ বছরে কতটা এগোলো বাংলাদেশ, সামনে কী চ্যালেঞ্জ?নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু হয়, যা একটি সময় পর্যন্ত আস্থার জায়গা তৈরি করেছিল। কিন্তু ২০০৭ ও ২০০৮ সালে সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে আবারও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। অধ্যাপক মাসুদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘‘ওই দুই বছরে আমরা গণতন্ত্রের অবক্ষয় দেখেছি। পরবর্তী সময়ে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত তুলনামূলকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও, ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হওয়ায় পরিস্থিতি আমূল বদলে যায়।‘’তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের পর ক্ষমতাসীন দলের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে থাকে; যা দেশ-বিদেশে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়। অধ্যাপক মাসুদ হাসানুজ্জামানের বিশ্লেষণে, গত ১৬ বছরে নির্বাচনকে সামনে রেখেই কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একদম হাইব্রিড ব্যবস্থা চালু ছিল বাংলাদেশে।তার মতে, নির্বাচিত সরকারগুলো প্রতিদ্বন্দ্বী দমনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, ফলে সংসদীয় অসহনশীলতা বেড়েছে এবং গণতন্ত্র চর্চার মৌলিক পূর্বশর্তগুলো পূরণ করা সম্ভব হয়নি। নাগরিক অধিকার, নিরাপত্তা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় ঘাটতি রয়ে গেছে।এই দীর্ঘ সময়ে সরকার গঠন প্রক্রিয়ায় জনগণের প্রকৃত অংশগ্রহণ না থাকায় বৈষম্য আরও প্রকট হয়। এরই পরিণতিতে ২০২৪ সালে ছাত্রদের নেতৃত্বে অভ্যুত্থান ঘটে, যেখানে গণতান্ত্রিক সংস্কার ও ন্যায্য রাষ্ট্রব্যবস্থার দাবি সামনে আসে। ড. আল মাসুদ হাসানুজ্জামান মনে করেন, এই অভ্যুত্থান একটি নতুন প্রত্যাশা তৈরি করেছে, সেটি হলো— সংস্কারের মাধ্যমে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা।
আরও পড়ুন: ৫৪ বছরে কতটা এগোলো বাংলাদেশ, সামনে কী চ্যালেঞ্জ?তিনি বলেন, ‘‘রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রয়োজন। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক দল ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগে যে সংলাপ হয়েছে, তার ফল হিসেবে জুলাই সনদ প্রণীত হয়েছে। এই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন ও গণভোট হওয়ার কথা থাকলেও, এ নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য স্পষ্ট।’’তার মতে, ভবিষ্যতে সংস্কার কতটা গণতন্ত্র সহায়ক হবে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে সামনের নির্বাচন ও গণভোটের ওপর।অধ্যাপক মাসুদ হাসানুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, দেশে গণতন্ত্র চর্চার জন্য জাতীয় ঐকমত্য অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, এই ঐকমত্যের অভাব থাকলে বিদেশি শক্তির প্রভাব বাড়ে। বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তির ভিন্ন ভিন্ন আন্তর্জাতিক ন্যারেটিভ বাংলাদেশের রাজনীতিকে বিভক্ত করেছে, যার সুযোগ নিয়ে বিদেশিরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করছে।তার মতে, ২০২৪ পরবর্তী সময়ে গণতন্ত্র চর্চার মূল চ্যালেঞ্জ হলো সংস্কারের বাস্তবায়ন। যদিও পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু কাঠামোগত পরিবর্তন এখনও দৃশ্যমান নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন কঠিন হলেও, জনগণের মতামত প্রকাশের সুযোগ নিশ্চিত করা এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনই ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিক পথ নির্ধারণ করবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরি নির্দেশনা দিয়ে মাউশির চিঠি
বিজয় দিবসে সড়কে ঝরল ৭ প্রাণ
‘বর্তমান যে ফর্ম অবাক হওয়ার কিছু নেই’—নিলামে মোস্তাফিজের দাম নিয়ে মাশরাফী
অপরাধ দমনে এআই সংযুক্ত সিসিটিভি চালু করছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ভাঙা বাড়িতে হাদি-ভাসানীর ছবি
আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে লড়ার সুখবর দিয়ে মুক্তি পেল ‘রইদ’-এর ট্রেলার