184
শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া, সহপাঠ্যক্রমিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) অধিদফতরের উপপরিচালক প্রফেসর মো. শহিদুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম একাডেমিক শিক্ষার পরিপূরক হিসেবে শিক্ষার্থীদের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কার্যক্রমগুলো জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়ে সারা বছরই চলমান থাকবে।মাউশির নির্দেশনা অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিম্নলিখিত প্রতিযোগিতাগুলো নিয়মিত আয়োজন করতে হবে:ক্রীড়া প্রতিযোগিতা: ফুটবল, ভলিবল, দাবা, ক্রিকেট ও দৌড় প্রতিযোগিতা।সহপাঠ্যক্রমিক প্রতিযোগিতা: বক্তৃতা (বাংলা ও ইংরেজি), উপস্থিত বক্তৃতা, বিতর্ক, কুইজ ও দেয়ালিকা তৈরি।সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা: কোরআন তিলাওয়াত, হামদ, নাত, নজরুল সংগীত, রবীন্দ্র সংগীত, লোকগীতি, একক অভিনয়, নৃত্য ও গ্রাফিতি অঙ্কন।
আরও পড়ুন: গেজেট প্রকাশের আলটিমেটাম শেষ, পে-স্কেল নিয়ে যা জানা গেল
বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে হাউজভিত্তিক (৪টি হাউজে) সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্কুল ও কলেজের ক্লাস রুটিনের সঙ্গে সমন্বয় করে এই কার্যক্রমকে গতিশীল করতে বলা হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠান প্রধানকে এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।এ ছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা একাডেমিক কার্যক্রমের সঙ্গে সমন্বয় করে সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের একটি ক্যালেন্ডার গত ২৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রণয়ন করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বয়েজ স্কাউট, রোভার স্কাউট, গার্ল গাইডস, বিজ্ঞান ক্লাব, বিতর্ক ক্লাব এবং স্বাস্থ্য ও শারীরিক শিক্ষা ক্লাব ইত্যাদি কার্যক্রমে যথাযথ গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের শারীরিক শিক্ষা বিভাগ এই সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমগুলো নিয়মিতভাবে মনিটরিং করবে।