410
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতীয় নেত্রী, দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক রাজনীতির অন্যতম শীর্ষ ব্যক্তিত্ব এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন। বিষয়টি আমাদের সবার জন্যই উদ্বেগের।’
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বেগম জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি শুরু থেকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতি তার অবিচল অঙ্গীকার, দেশের উন্নয়নে তার অবদান এবং তার প্রতি জনগণের শ্রদ্ধাময় আবেগ বিবেচনায় সরকার এরইমধ্যে তাকে রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।’
সরকারের পক্ষ থেকে বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পরিবারের ইচ্ছাকে সম্মান দেখিয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘দেশে চিকিৎসার পাশাপাশি প্রয়োজনে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ সব বিষয় বিবেচনায় রয়েছে।’
দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্তর্বর্তী সরকার তিনটি বিষয়কে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার, একটি জবাবদিহিমূলক ও কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণের জন্য রাষ্ট্রকাঠামোর প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় এগিয়ে চলেছে। এরইমধ্যে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক একটি মামলার রায় ঘোষিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বেগম জিয়ার চিকিৎসার বিস্তারিত জানাল মেডিকেল বোর্ড
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল স্বাধীন ও স্বচ্ছ, প্রমাণভিত্তিক বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের ছাত্র, শ্রমিক ও সাধারণ জনগণের ওপর নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের প্রধান নির্দেশদাতা হিসেবে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধান শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে অভ্যুত্থানের পর পলাতক শেখ হাসিনা এবং এই মামলার সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে দেশে ফেরানোর জন্য সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে।’
এরইমধ্যে বেশ কিছু প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘কয়েক ডজন পুরোনো আইন সংশোধন করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সংস্কারের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হচ্ছে- জুলাই জাতীয় সনদ। মৌলিক সাংবিধানিক সংস্কার নিশ্চিত করতে এটি আদেশ আকারে জারি করা হয়েছে।’
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে এখন নাগরিকদের অনুমোদন নেয়ার পালা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাই আগামী নির্বাচনে আপনাদের সিদ্ধান্ত অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ। গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথরেখা এখান থেকেই সূচিত হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনের সময় একইসঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই গণভোটে আপনারা ‘হ্যাঁ’/‘না’ ভোটের মাধ্যমে সংস্কারের পক্ষে বা বিপক্ষে মতামত দিন।’
হবিগঞ্জে মোটরসাইকেল-অটোরিকশার সংঘর্ষে যুবক নিহত
ডেভিল হান্ট ফেজ-২ অভিযানে যশোরে গ্রেফতার ১৮
নান্নু-রাজ্জাকদের বিপক্ষে সহজ জয় তুলে নিলো রফিক-আশরাফুলরা
নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙায় যশোরে বিএনপির প্রার্থীকে শোকজ
ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়ির ধ্বংসাবশেষ সরাতে বাধা চলচ্চিত্রকর্মীদের
বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে জমকালো সংবর্ধনার আয়োজন রাষ্ট্রপতির