www.Bangla24.Top
Login - Registration - Lost Password
Homeখবরাখবরমস্কোয় যেমন কাটছে সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টের জীবন

মস্কোয় যেমন কাটছে সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টের জীবন

Download Bangla.Top Android App
মস্কোয় যেমন কাটছে সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টের জীবন - Bangla24.Top125
বিদ্রোহীদের সামরিক অভিযানের মুখে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে রাশিয়ায় পালিয়ে যান সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। সেই থেকে গত এক বছর ধরে রাজধানী মস্কোয় রয়েছেন তিনি। কিন্তু সেখানে তার জীবন কীভাবে কাটছে , তা নিয়ে অনেকেরই কৌতূহল রয়েছে।সিরিয়ায় সরকার পতনের এক বছর পর ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন মস্কোয় বাশার আল আসাদের কর্মকাণ্ডের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, পরিবার নিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন আসাদ। সেই সঙ্গে পুরনো পেশা চক্ষু চিকিৎসা নিয়ে নতুন করে পড়াশুনা করছেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর ভোরে বিদ্রোহী বাহিনী দামেস্কের দিকে অগ্রসর হলে রুশ সেনাদের সহায়তায় সিরিয়া ত্যাগ করেন বাশার আল আসাদ। তাকে প্রথমে উপকূলীয় খমেইমিম বিমান ঘাঁটিতে এবং পরে সেখান থেকে বিমানে করে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বর্তমানে আল আসাদ পরিবার মস্কোর পশ্চিমে অবস্থিত অভিজাত রুবলিওভকা এলাকায় বসবাস করছে, যা রাশিয়ার প্রভাবশালী রাজনীতিক ও ধনকুবেরদের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। তবে আর্থিক সচ্ছলতা সত্ত্বেও পরিবারটি রুশ কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারির মধ্যে রয়েছে এবং বাইরের বিশ্বের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ অত্যন্ত সীমিত।
আরও পড়ুন: ঝড়-বৃষ্টিতে গাজায় ধসে পড়ছে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক ভবন
আসাদ পরিবারের এক বন্ধু জানিয়েছেন, লন্ডনে প্রশিক্ষিত চক্ষু বিশেষজ্ঞ আসাদ বর্তমানে ‘রুশ ভাষা অধ্যয়ন করছেন এবং আবারও চক্ষুবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশুনা করছেন। সম্ভবত মস্কোর অভিজাতদের মধ্যে চক্ষু চিকিৎসা অনুশীলন করার লক্ষ্যে রয়েছেন তিনি।
২০১১ সালে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী আন্দোলন দমনে সহিংস অভিযানের কারণে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে আসাদ পরিবারের বিপুল সম্পদ রাশিয়ায় সরিয়ে নেয়া হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। ক্রেমলিনের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার নেতৃত্বের কাছে আসাদ এখন আর রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নন।
এ বিষয়ে ইরাকে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এলব্রুস কুত্রাশেভ এক সাক্ষাৎকারে জানান, বাশার আল আসাদ রাশিয়ায় নিরাপদে আছেন। তবে তাকে কোনো রাজনৈতিক বা গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে অংশ নিতে দেয়া হচ্ছে না।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, সিরিয়া ছাড়ার আগে ঘনিষ্ঠ মিত্র বা স্বজনদের কিছু না জানানোয় আসাদের পরিবারের মধ্যেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। মস্কোতে আসার পর অবশ্য লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত স্ত্রী আসমা আল আসাদের চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে পরিবারটি আবার একত্রিত হয়। পরীক্ষামূলক চিকিৎসার পর তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় তিন মার্কিন নাগরিককে হত্যাকারী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছিলেন!
আসাদের সন্তানেরা এরই মধ্যে মস্কোর জীবনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে। তার মেয়ে জেইন আল আসাদ চলতি বছরের জুনে মস্কোর অভিজাত এমজিআইএমও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। অন্যদিকে এক সময়ের সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচিত ছেলে হাফেজ আল-আসাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
সব মিলিয়ে এক সময়ের ক্ষমতাধর এই সিরীয় ও তার পরিবার এখন মস্কোর বিলাসী আবরণে রাজনৈতিকভাবে নিঃসঙ্গ ও নীরব জীবন পার করছেন।

Related Posts

Categories #9

খবরাখবর(902)
ছোট গল্প(68)
শিক্ষামূলক গল্প(67)
গল্পকথার আসর(59)
ভৌতিক গল্প(57)
ইসলামিক গল্প(44)
কিশোর গল্প(32)
রম্য গল্প(21)
চটি গল্প(1)